Study-Skill
Learn : Memory Techniques, Learning Techniques, Tension-Free Exam Technique, with Mind Development Training
Sumeru Ray's
মহাধর্মের ব্যবহারীক (প্র্যাকটিক্যাল) দিক হলো— ‘মহামনন’ বা মহা আত্মবিকাশ শিক্ষাক্রম। আত্মবিকাশ অর্থাৎ মনোবিকাশ ঘটানোর সাথে সাথে সর্বাঙ্গীন সুস্থতা লাভই হলো এই শিক্ষাক্রমের উদ্দেশ্য।
বিভিন্ন চিকিৎসা বিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, অধ্যাত্ম মনোবিজ্ঞান, যোগবিজ্ঞান এবং অন্যান্য বিজ্ঞানের সমন্বয়ে এবং ‘মহাবাদ’ গ্রন্থের প্রকৃষ্ট জ্ঞানের সাহায্যে এই অসাধারণ শিক্ষাক্রম গ’ড়ে উঠেছে— বহুকালের নিরলস ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও গবেষনার ফলে--।
নিজেকে জানা—নিজের শরীর ও মনকে জানা, নিজের চারিপাশ সহ মানুষকে চেনা, নিজের প্রকৃত অবস্থান সহ জগৎ সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান লাভ, নিজের উপর নিয়ন্ত্রন লাভ, জগতকে আরো বেশি উপভোগ করার জন্য নিজেকে যোগ্য—সমর্থ ক’রে তোলা— এই রকম আরো অনেক বিষয় নিয়েই এই শিক্ষাক্রম।
নিষ্ঠার সাথে শিক্ষা ও অনুশীলন করতে থাকলে— আস্তে আস্তে আপনার ভিতরে এক উন্নত—বিকশিত নতুন মানুষ জন্ম নেবে। যা দেখে আর সবার মতো আপনিও বিস্ময়ে মুগ্ধ হয়ে যাবেন। নিজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা বিপুল সম্পদের অধিকারী হয়ে অপার আনন্দের আধার হয়ে উঠবেন আপনি। আপনার চারিপাশে থাকা সবাই এই আনন্দের সংস্পর্শে এসে তারাও আনন্দ লাভ করবে!
ছাত্র-ছাত্রীগণ তাদের প্রচলিত শিক্ষা গ্রহনের পাশাপাশি এই আত্মবিকাশ শিক্ষা গ্রহনের দ্বারা তাদের পরীক্ষার ফল আরো ভালো করতে সক্ষম হবে। এছাড়া তাদের আচরণেও শুভ পরিবর্তন দেখা যাবে।
সাফল্য লাভের উপায়
যে বিষয়ে সাফল্যলাভ করতে চাও, —সেই বিষয়ের প্রতি যথেষ্ট আগ্রহী হতে হবে তোমাকে। শয়নে-স্বপনে —জাগরণে প্রায় সময়ে সেই বিষয়টি নিয়ে নিজের মধ্যে ধ্বনাত্মক (পজেটিভ) আলোচনা-পর্যালোচনা এবং কল্পনা-পরিকল্পনা চলবে। তবে এই চিন্তা-ভাবনাগুলি করতে হবে— সুশৃঙ্খলভাবে, এলোমেলো চিন্তা নয়। সেই সঙ্গে সুশৃঙ্খলভাবে চিন্তা-ভাবনা বিচার-বিশ্লেষণ করতেও শিখতে হবে। সত্যে উপনীত হতে, অথবা সত্য উদ্ঘাটন করতে— সুশৃঙ্খলভাবে চিন্তা করতে শিখতে হবে।
তার আগে দেখতে হবে, ঐ ব্যাপারে তোমার যোগ্যতা আছে কি না, যোগ্যতা অর্জন করতে সক্ষম হবে কি না। আর দেখতে হবে, —সুযোগ-সুবিধা —বাস্তব সম্ভাবনা আছে কি না, তোমার কাজের বা ঐবিষয়ের বাস্তবে কেমন চাহিদা আছে— কোথায় চাহিদা আছে।
বিষয়ের প্রতি আগ্রহ কম থাকলে, সেই বিষয়ের মধ্যে রসের সন্ধান করতে হবে। যারা ঐ বিষয়ে অভিজ্ঞ তাদের সাথে আলাপ-আলোচনা করতে হবে। ঐ বিষয়ের উপর পড়াশুনা— খোঁজ-খবর করতে হবে। ক্রমশ নিজের যোগ্যতা বাড়িয়ে তুলতে হবে।
পরিকল্পনা মাফিক ধাপে ধাপে— যুক্তিসম্মত পথ ধরে এগতে হবে তোমাকে। তার সাথে সুযোগ-সুবিধার সন্ধান ক’রে— তাকে কাজে লাগাতে হবে। অজ্ঞান-অন্ধের মতো শুধু নির্বিচারে তথ্য ও তত্ত্বগুলি গ্রহন করলেই হবেনা, বিষয়ের গভীরে প্রবেশ করতে হবে সত্যানুসন্ধানীর দৃষ্টি নিয়ে। নিজেকে সৃজনশীল ক’রে তুলতে হবে। নতুন নতুন দিশার সন্ধান এবং নতুন কিছু উদ্ভাবনের চেষ্টা করতে হবে এবং এ’ ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠতে হবে। যে কোনো কাজের আসল মজাই তো এইখানে!
মাঝে মাঝে নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে সমস্ত বিষয়-বস্তু এবং তোমার কার্যকলাপ— সমস্ত কিছু পর্যবেক্ষণ করতে হবে। যদি করতে না পারো, তাহলে কিভাবে কিভাবে তা’ করতে হয় শিখতে হবে। আমাদের ‘মহামনন’ আত্মবিকাশ বা মনোবিকাশ শিক্ষাক্রমের মধ্যে— এ’সমস্ত কিছুই শেখানো হয়ে থাকে।
তোমার কাজ বা বিষয়ের প্রতি যত বেশী ভালবাসা থাকবে, তুমি সেক্ষেত্রে তত বেশী সাফল্য লাভ করতে পারবে। এই ভালবাসার মূলে রয়েছে— স্বার্থ। যাকিছু আমাদের স্বার্থ পুরণ করে— আমাদের আনন্দ বা তৃপ্তি দেয়, আমাদেরকে লাভবান ক’রে তোলে— আমাদের চাহিদা মেটায়, —তা-ই আমাদের ভাললাগে, তাকেই আমরা ভালবাসি।
অনেকসময় এর ব্যতীক্রম হতে দেখা যায়, আমাদের বোঝার ভুলে, আমাদের সচেতনতার অভাবে, অথবা উদাসীনতার কারণে। এর প্রতিকার হলেই— তখন তোমার বিষয় বা কাজটির প্রতি ভালবাসা জন্মাবে। যদি অসুস্থতার কারণে ভালবাসার অভাব ঘ’টে থাকে— সেক্ষেত্রে তারও প্রতিকার করতে হবে।
ছাত্র-জীবনেই হোক আর কর্ম-জীবনেই হোক, সাফল্য লাভের পিছনে— অনেক ক্ষেত্রেই গৃহ ও পরিবারের একটা বড় ভূমিকা থাকে। বাড়ির পরিবেশ, পরিবারের বিভিন্ন সদস্যদের আচরণ এবং আর্থিক অবস্থা অনুকূলে থাকলে, সার্বিক সুস্থতা থাকলে সাফল্যলাভ অনেকটাই সহজ হয়।
প্রতিকূল পরিবেশ-পরিস্থিতির সাথে লড়াই ক’রে সাফল্য লাভ করতে প্রয়োজন— অদম্য মনের জোর— তীব্র উচ্চাকাঙ্খা, আর সজাগ-সচেতন-যুক্তিবাদী মন। নানা উপায়— নানা পথ খুঁজে বার করতে গিয়ে অনেক শ্রম— অনেক সময়— অনেক শক্তি ব্যয় হলেও, ব্যক্তি অভিজ্ঞ—কর্মদক্ষ—কৌশলী—সচেতন এবং উদ্ভাবন ক্ষমতা সম্পন্ন হয়ে ওঠে। বাধা-বিঘ্ন —প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে এগিয়ে গিয়ে সাফল্য লাভে— আনন্দ লাভ হয় অনেক বেশি।
কিন্তু বিশেষ মানসিক সহায়তা না পেলে— সবার পক্ষে তা’ সম্ভব হয়ে ওঠেনা। তাই বাড়ির পরিবেশ, পরিবারের সদস্যদের আনুকূল্য বিশেষ প্রয়োজন হয়।
অনেক মা-বাবাকেই দেখা যায়, তাদের আচরণ— সন্তানের বিকাশের পক্ষে মোটেই সহায়ক নয়। দেখা যায়, অনেকেই তাদের সন্তানকে বিকশিত ক’রে তুলতে— মানুষ ক’রে তুলতে চাইছেন, কিন্তু তারা নিজেদের বিকাশের ব্যাপারে মোটেই সচেতন নয়।
সন্তানকে যথেষ্ট বিকশিত মানুষ ক’রে তুলতে চাইলে, —ঐকান্তিকভাবে চাইলে, নিজেদের আত্মবিকাশ ঘটানোর সাথে সাথে— কিভাবে সন্তানকে মানুষ ক’রে তুলতে হয়, তার পাঠ নেওয়া এবং তা’ অনুসরণ ও অনুশীলন করা অত্যন্ত জরুরী। আজকের দিনে— পরিবারে সুখ ও শান্তি চাইলে, পরিবারের প্রত্যেককেই আত্মবিকাশ বা মনোবিকাশের পাঠ নেওয়া এবং তা’ নিয়মিত অনুসরণ ও অনুশীলন করা একান্ত কর্তব্য।
পড়াশোনার সময় অর্থ বুঝে পড়তে বা শুনতে হবে। আর সাথে সাথে তার অর্থ অনুযায়ী তার চিত্ররূপ দিতে হবে— চলমান (যেন জীবন্ত) ছবি কল্পনা ক’রে নিতে হবে। একটি নির্দিষ্ট পাঠের মধ্যে— পর পর বিষয়গুলির মধ্যে যেমন যেমন সম্পর্ক রয়েছে, —তোমার কল্পনার চলচ্চিত্রের মধ্যেও ঠিক তেমনি সম্পর্ক থাকবে।
আর একটি কথা মনে রাখতে হবে, মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রে যদি প্রয়োজনীয় রস-রক্ত-খাদ্য বা পুষ্টির অভাব ঘটে, যদি তা’ টক্সিন দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে তার কাছ থেকে ভালো কাজ পাওয়ার আশা করা যাবেনা।
আত্মবিকাশ— মনোবিকাশ— মানুষ হওয়া অথবা মানুষ করার ব্যাপারটা অনেকের কাছেই এখনো স্পট নয়। ছেলেমেয়েকে— তাদের নানা আবদার মিটিয়ে, সযত্নে প্রতিপালন করা, তাদের বড় ক’রে তোলাকেই অনেকে ‘মানুষ করা’ বলে, মনে করে। আবার, অনেক মা-বাবা না বুঝেই— নিজেদেরকে যথেষ্ট বিকশিত— পরিপূর্ণ মানুষ ব’লে ভেবে থাকে।
মনীষীরা যখন আশীর্বাদ ক’রে বলেন, —‘মানুষ হও’, তখন তাঁরা কি শুধু খেয়ে-প’রে বড় হওয়ার কথা বলেন? —একবারও ভেবে দেখিনা আমরা। অনেকের বক্তব্য, —মানুষ আবার কি হবো, আমরা তো মানুষই!
আসলে, এই মানুষ হওয়া বলতে বোঝায়, —যথেষ্ট বিকশিত মানুষ হওয়া। অর্থাৎ যথেষ্ট বিকশিত মনের মানুষ হওয়া। আত্মবিকাশের অর্থ হলো— মনোবিকাশ। ‘মনের বিকাশ’ —ব্যাপারটা নিয়েও অনেকে ধন্দে আছে। কেউ কেউ ভাবে, আমাদের অনেক বয়েস হয়েছে— যথেষ্ট জ্ঞান-বুদ্ধি-অভিজ্ঞতা হয়েছে, এর থেকে আবার কি বিকাশ হবে! এদের কাছে— পূর্ণবয়স্ক মানুষ আর পূর্ণবিকশিত মানুষ প্রায় সমার্থক!
বহীর্মুখী দৃষ্টি দিয়ে অন্তরের অন্ধকার—অসুস্থতা—অপূর্ণতা, অন্তরের বিকাশ বোঝা সম্ভব নয়। তার জন্য মন সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান সহ, মন সম্পর্কে সজাগ-সচেতন হতে হবে আমাদের। মনের দিকে তাকাতে— লক্ষ্য রাখতে হবে মাঝে মাঝেই। মনেরাখতে হবে, এই মন আছে ব’লেই— আমরা মানুষ। তাই, একজন মানুষ হিসেবে, আমাদের মন সম্পর্কে ওয়াকিফহাল হতে হবে। যার মন যত বিকশিত— সে ততটাই বিকশিত মানুষ।
মানুষে মানুষে এতো পার্থক্য সৃষ্টির পিছনেও বড় কারণ হলো— আমাদের মন। বিভিন্ন চেতনস্তরের— বিভিন্ন মানসিক গঠন এবং বিভিন্ন ধরণের সংস্কার বা ‘প্রোগ্রাম’ সংবলিত— বিভিন্নরূপ মনের কারণেই আমরা এক একজন এক এক ধরণের মানুষ।
আমাদের এই মনের মধ্যে— বর্তমানে সক্রিয় দুটি অংশী মনের একটি হলো— অন্ধ-আবেগ প্রবণ অবচেতন মন, আর অপরটি হলো— সচেতন মন। এদের সুস্থতা এবং সচেতন মনের বিকাশের উপরেই মানুষের যাবতীয় বিকাশ— উন্নতি— সমৃদ্ধি নির্ভর করে। মানব সমাজের অধিকাংশ অসুখ-অশান্তি-সমস্যার মূলেই রয়েছে— আমাদের এই মন। অজ্ঞান-অন্ধ, অসুস্থ-বিকারগ্রস্ত মন। তাই, সুস্থ-সুন্দর —শান্তিপূর্ণ-সমৃদ্ধ জীবন লাভ করতে— নিজের নিজের মনোবিকাশ ও সুস্থতা লাভের চেষ্টার সাথে সাথে, চারিপাশের সমস্ত মানুষের মনোবিকাশ এবং মানসিক সুস্থতা ঘটাতে সচেষ্ট হতে হবে আমাদেরকে। এটাই মানব জীবনের প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য। আর এর জন্য যথাযথভাবে নিয়মিত অনুশীলন করাই হলো— মানবধর্ম।
‘মহামনন’ আত্মবিকাশ বা মনোবিকাশ শিক্ষাক্রমের জন্য, গুগল সার্চ= MahaManan
আমরা চাই—
আমরা আমাদের জীবনকে আরও বিকশিত ক’রে তুলতে চাই— জীবনে সফল হতে চাই, সুখী-সমৃদ্ধ-শান্তিপূর্ণ —আনন্দময়-সুন্দর জীবন লাভ করতে চাই। নিজেকে পূর্ণরূপে দেখতে চাই!
আমরা নিজেদের বিকাশের সাথে সাথে— আমাদের সন্তানদেরও মানুষের মতো মানুষ ক’রে তুলতে চাই, তাদের সঠিকভাবে বিকশিত ক’রে তুলতে চাই। জ্ঞানে-গুণে, আচরণে, প্রকৃত শিক্ষায়— সক্ষমতায় পরিপূর্ণ মানুষ ক’রে তুলতে চাই।
আপনিও কি তাই চান?
আপনার চাহিদাও যদি তাই হয়, যদি চান এক সুন্দর—বিকাশমান— সুস্থ-সুখী জীবন উপভোগ করতে, ‘মহামনন’ মহা—আত্মবিকাশ শিক্ষাক্রমের মধ্য দিয়ে— আপনি তা’ অবশ্যই লাভ করতে পারবেন। এমনকি ছাত্র-ছাত্রীগণ তাদের পড়াশোনার সাথে সাথে— ‘মহামনন’ শিক্ষা এবং আত্মবিকাশ-যোগ নিয়মিত অভ্যাস করলে, সার্বিক উন্নতি সহ— তাদের আচরণ ও পরীক্ষার রেজাল্টও অনেক ভালো হয়ে থাকে।
‘মহামনন’ মহা—আত্মবিকাশ শিক্ষাক্রমের জন্য ‘মহামনন’ ক্লাসে যোগদিন।
“আমরা সবাই এক পথের পথিক— বিকাশমান চেতনার পথে।”
–মহামানস
“নিজেকে বদলাও— তোমার ভাগ্যও বদলে যাবে।”
—মহামানস
মহামনন
মহামানস নির্দেশিত ও প্রদর্শিত পথে সহজ-সরল অপূর্ব এই শিক্ষা অধ্যয়ন ও অনুশীলনের মধ্য দিয়ে— জীবনে আনুন এক অভূতপূর্ব বিস্ময়কর শুভ পরিবর্তন। আপনার জীবন আরও সুন্দর ও আরও বিকশিত হয়ে উঠুক।
মহা-আত্মবিকাশের জন্য মনন-ই হলো— ‘মহামনন’। প্রকৃত আত্মবিকাশ লাভের এক অতুলনীয় শিক্ষাক্রম-ই হলো—‘মহামনন’। ভিত্তিমূল শিক্ষা থেকে আরম্ভ ক’রে অতি উচ্চস্তরের ‘মহা-আত্ম-বিকাশ-যোগ’ শিক্ষাক্রমই হলো—‘মহামনন’।
—যার মধ্য দিয়ে ক্রমশই বহু সত্য —বহু অভাবনীয় তথ্য ও তত্ত্ব আপনার সামনে উদ্ঘাটিত হবে, আস্তে আস্তে এক সুস্থ-সমৃদ্ধশালী নতুন মানুষ জন্ম নেবে আপনার মধ্যে, এবং ক্রমশ বিকাশলাভ করতে থাকবে— করতেই থাকবে। সুস্থতা ছাড়া আত্মবিকাশ সম্ভব নয়। তাই, এই শিক্ষাক্রমের অঙ্গ হিসাবে আপনি এখানে অভিজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসার সুযোগ পাবেন।
আরো বিশদভাবে জানতে, এই ওয়েবসাইটগুলি দেখুন-
জীবনে সাফল্য লাভ কর
জীবনে সফল হওয়া বলতে, সাধারণত- মানব সমাজে প্রচলিত ‘মূল্যায়নের মাপকাঠি’ অনুযায়ী, একজনের জীবনে- তার চাহিদা মতো এবং/অথবা অপরাপরের চাহিদা অনুসারে- কোন কিছু বা বিশেষ কিছু হয়ে ওঠা, পেরে ওঠা, লাভবান হওয়া, বড় হওয়া অথবা উচ্চস্থান লাভ করা- কোন ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করাকেই বুঝে থাকি আমরা।
আমরা অনেকেই জীবনের মূল সত্য- মূল উদ্দেশ্য সম্পর্কে অবহিত না থাকার কারণেই ঐ রূপ ভেবে থাকি, এবং ঐ রূপ কিছু একটা হতে পারলে অথবা লাভ করতে পারলেই নিজেদেরকে জীবনে সফল বলে মনে করি।
আবার, যারা সেই হয়ে ওঠা- পেরে ওঠায় অসফল হয়, তারা মনে করে- তাদের জীবনটাই বুঝি বিফল হয়ে গেল! দুঃখ-কষ্ট-যন্ত্রনা –হতাশায় কেউ কেউ জীবনের মূল স্রোত থেকেই সরে যায়।
আবার দেখা যায়, সফলতা লাভের পরেও, অন্তরের গভীরে একটা অতৃপ্তি থেকেই যায়। ‘কি যেন চেয়েছি –কি যেন পাইনি-!’ অনেক খুঁজেও সেই অতৃপ্তির কারণটাকে সবাই ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারেনা।
মানব সমাজে সফলতার সার্টিফিকেট পেয়েও, সংবেদনশীল মন মাত্রেই ভিতরে ভিতরে একটা অপরিতৃপ্তি-অসন্তোষ অনুভব করে থাকে।
কেন এমন হয়?
আমি কে- জীবন কি ও কেন, জীবনের মূল লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য কি, -তা’ সঠিকভাবে জানা না থাকার কারণে, এবং মূল উদ্দেশের ক্ষেত্রে সফলতা লাভ না হওয়ার কারণেই এমনটা হয়ে থাকে।
অনেকেই বলে থাকে, জীবনের মূল উদ্দেশ্য নাকি ঈশ্বরলাভ! –ঈশ্বরলাভ না হওয়ার কারণেই ঐরূপ অতৃপ্তি –শূণ্যতা অনুভূত হয়ে থাকে। কিন্তু ঈশ্বর লাভ বলতে, তারা ঠিক কি বলতে চায়, তা’ তাদের কাছে স্পষ্ট নয়। এই জীবনেই ঈশ্বর লাভ আদৌ সম্ভব কিনা, ঈশ্বরলাভই মানব জীবনের মূল উদ্দেশ্য কি না, -সে সম্পর্কে তাদের কোন স্পষ্ট ধারণা নেই। শুধু পড়া ও শোনা কথা- জাহির করেই তারা আত্ম-সন্তুষ্টি লাভ ক’রে থাকে।
যার নিজের সম্পর্কে- জগৎ-সংসার সম্পর্কে, এবং ঈশ্বর সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেই, সে কি ক’রে বলতে পারে – ঈশ্বরলাভই জীবনের মূল লক্ষ্য!
আমাদের মধ্যে, পরিশ্রম ক’রে কিছু লাভ করা- যুক্তি-বুদ্ধি খরচ ক’রে, প্রভাব মুক্ত হয়ে- বিচার-বিবেচনা-অনুসন্ধানের মধ্য দিয়ে তলিয়ে দেখা ও বোঝার চেষ্টা খুব কম। শুধু পরস্পর শুনে- বিশ্বাস করা, আর ঘুষ দিয়ে- পূজো দিয়ে, স্তব-স্তুতি-স্তাবকতা ক’রে অনায়াসে বা স্বল্পায়াসে লাভ করার দিকেই আমাদের বেশী আগ্রহ। তার জন্য নিজেকে ঠকাতেও আমরা প্রস্তুত।
আমাদেরকে জীবনের মূল লক্ষ্য সম্পর্কে অবহিত করতে, এবং সেই লক্ষ্যপানে স্বচ্ছন্দে এগিয়ে যেতে সাহায্য করার উদ্দেশ্যেই সৃষ্টি হয়েছে- আত্মবিকাশ তথা মানববিকাশ মূলক ধর্ম- মহাধর্ম। মানব ধর্মই হলো- মহাধর্ম।
সত্যই যদি জীবনে সফল হতে চাও, -তাহলে মহাধর্ম পথে অগ্রসর হও। মহাধর্ম-ই হোক তোমার আপন ধর্ম।
মহাধর্ম সম্পর্কে আরো জানতে, গুগল সার্চ = MahaDharma, MahaManan
মহামনন —আত্মবিকাশ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য মুক্তহস্তে দান করুণ।
ছাত্র-ছাত্রীদের একটি নেশাই থাকবে— তা’ হলো পড়াশোনার নেশা, আর তাতে সাফল্য লাভের নেশা।
“In fact, I am not a teacher, I am just an awakener,” –MahaManas
*মহামানস প্রদর্শিত ম্যানমেকীং এডুকেশনের একটি অঙ্গ।
আপনার শহরে সেমিনার ও ক্লাসের আয়োজন করতে চাইলে, যোগাযোগ করুন।
আপাতদৃষ্টিতে সবকিছু ঠিক থাকা বা করা সত্বেও যদি বিষয়—কর্মে আগ্রহ ও ভালবাসার অভাব দেখাযায়, তাহলে বুঝতে হবে— শারীরিক-মানসিক সুস্থতার অভাব আছে। তার প্রতিকারের জন্য আমাদের চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুণ।
“আমরা এখানে এসেছি— এক শিক্ষামূলক ভ্রমনে। ক্রমশ উচ্চ থেকে আরো উচ্চ চেতনা লাভই— এই মানব জীবনের অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য। এখানে আমরা জ্ঞান-অভিজ্ঞতা লাভের মধ্য দিয়ে যত বেশি চেতনা-সমৃদ্ধ হয়ে উঠতে পারবো, তত বেশি লাভবান হবো।
আধ্যাত্মিক দৃষ্টিতে— এখান থেকে চলে যাবার সময়, কিছুই আমাদের সঙ্গে যাবেনা, একমাত্র চেতনা ব্যতীত।” —মহামানস
To know more, Google search= MahaManan / MahaDharma
বুঝতে না পারার কারণ
কোনো কিছু বুঝতে গিয়ে— আমরা আমাদের চেনা-জানা ছবি— পূর্ব অভিজ্ঞতা— বিশ্বাসের সাথে মিল খুঁজি। অনেকটা মিল হলে তবেই তা’ আমরা সহজে বুঝতে পারি। আর যদি তা’ অনেকাংশে না মেলে, সেক্ষেত্রে সেই বিষয়টি বুঝতে আমাদের কষ্ট হয়, অথবা আমরা বুঝতে পারিনা। এছাড়া, অনেক সময় আমাদের মন তা’ মেনে নিতে— বিশ্বাস করতে অপারক হয়।
তাই, কাউকে কোনো কিছু বোঝাতে অথবা নতুন কিছু বোঝাতে গেলে, প্রথম থেকেই— যাকে বোঝানো হচ্ছে, তার চেনা-জানা জগতের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। আস্তে আস্তে বিশ্বাসের জায়গা তৈরী হলে— একটু একটু ক’রে— মাঝে মাঝে অল্প চেনা বা আংশিক চেনা বিষয়ের অনুপ্রবেশ ঘটাতে হবে তার মধ্যে।
যদি একেবারেই অচেনা—অজানা কোন বিষয় জানাতে বা বোঝাতে হয়, তাহলে অবশ্যই তাকে চেনা ছবির মোড়কে অথবা চেনা জগতের হাত ধরেই তার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে।
তবে, এই বোঝার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে— প্রয়োজন বোধ তৈরি করতে হবে সবার আগে। স্বার্থ— প্রয়োজনবোধ না থাকলে, ব্যক্তির মধ্যে বোঝার আগ্রহই সৃষ্টি হবেনা। এই প্রয়োজনবোধ যত তীব্র হবে— ততই জানা-বোঝার আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে— নিজের স্বার্থেই। এই প্রয়োজন বোধও আমাদের চেনা-জানা ক্ষেত্রের মধ্যেই থাকতে হবে। অজানা—অচেনা কোনো প্রয়োজনীয়তাকে একদম হুট ক’রে আমাদের মনের মধ্যে প্রতিষ্ঠা করা যাবেনা। তার জন্য সুকৌশলে ধীরে ধীরে সঠিক পথে এগনো দরকার।
প্রয়োজন থাকা সত্বেও— স্বার্থ থাকা সত্বেও, অনেকসময় আমরা অনেক কিছুর প্রতি আগ্রহ বোধ করিনা, —বোঝার জন্য প্রয়োজনীয় মানসিক শ্রম স্বীকার করতে অনীহা দেখা দেয় আমাদের মধ্যে। এই অনীহা—বিরাগ—আলস্য এসবের পিছনে থাকে শারীরিক এবং/অথবা মানসিক দুর্বলতা, অক্ষমতা অথবা অসুস্থতা।
প্রকৃত কারণটি বুঝে—, তখন তার প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু এখানেও সেই বোঝার ব্যাপারটা থেকেই যায়। বোঝা ও বোঝানোর মধ্যে—আনন্দরস— মজা থাকলে, বোঝা ও বোঝানো উভয়ই অনেক সহজ হয়।
আঃ কিছুতেই মনে পড়ছে না!
আমরা মন দিয়ে যাকিছু পড়ি—শুনি—দেখি, কোনোটাই আমরা ভুলে যাইনা। সব কিছুই আমাদের স্মৃতি-ভান্ডারে সঞ্চিত থাকে। কিন্তু প্রয়োজনমতো তা’ স্মরণ করতে গিয়ে— অনেক সময়ে আমাদের নাজেহাল হতে হয়। কখনো কখনো— অনেক চেষ্টা করেও তাকে মনের পর্দায় তুলে আনা সম্ভব হয়না।
আবার দেখাযায়, অন্য এক সময়— আমাদের অজান্তেই ‘মন’ তার ‘সার্চ-ইঞ্জিন’ -এর সাহায্যে কোনো এক চাপা পড়া ফাইল থেকে তাকে খুঁজে বের ক’রে এনে— হাজির করেছে !
তাছাড়া, আমরা সবাই লক্ষ্য করেছি, যখন কিছুতেই কোনো একটা কিছু মনে করতে পারছিনা, তখন অপর কেউ— কোনো একটা সূত্র দিয়ে সাহায্য করার সাথে সাথেই— সেটা আমাদের মনে পড়ে গেছে ! এর থেকেই আমরা বুঝতে পারি, একমাত্র বিশেষ অসুস্থতা ছাড়া, কোনো জানা তথ্যই আমাদের মন থেকে মুছে যায় না। সমস্যা— শুধু প্রয়োজনমতো তাকে মনের সামনে তুলে আনা !
খেয়াল করুণ, একটু আগেই বলেছি— একটা সূত্র পাওয়ার সাথে সাথেই, একটু আগে মনে না আসা বিষয়টি তৎক্ষণাৎ আমাদের মনে পড়ে গেছে ! তাহলে, আমরা দেখতে পাচ্ছি, এই ‘সূত্র’ হলো— স্মরণ করার এক বড় চাবিকাঠি ! সূত্রই আমাদের মনের ‘সার্চ-ইঞ্জিন’-কে সেই গোপন কুঠুরী থেকে তথ্য বের ক’রে আনতে সাহায্য করে।
তাই, প্রয়োজনমতো কোনো তথ্যকে স্মরণ করতে হলে— তথ্যকে বিশেষ বিশেষ সূত্রের সাহায্যে— সুতো দিয়ে গেঁথে রাখতে হবে মনে, যাতে প্রয়োজন হলেই তাকে ডেকে আনা যায়।
এ’ নিয়ে ক্লাসে বিশদভাবে আলোচনা করবো। বিশেষ পদ্ধতির সাহায্যে এই কাজটি ছাত্র-ছাত্রীরা সহজেই করতে সক্ষম হবে। তবে, মন ও স্নায়ু-তন্ত্রের সুস্থতা থাকা অত্যন্ত জরুরী। মন ও স্নায়ু-তন্ত্র উত্তেজিত—বিক্ষিপ্ত, দুর্বল ও অস্থির থাকলে, তার পক্ষে সুষ্ঠুভাবে কাজ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। সেইজন্য, শিক্ষা বিভাগের পাশাপাশি আমাদের রয়েছে— বিশেষ চিকিৎসা বিভাগ।