top of page
Title.jpg

লার্ন ‘হাউ টু স্টাডি’ —‘হাউ টু সাকসিড’।  উচ্চাকাঙ্খা এবং জেতার মনোভাব গড়ে তোলো। 

পরামর্শ নিন :

আপাতদৃষ্টিতে সবকিছু ঠিক থাকা বা করা সত্বেও যদি বিষয়—কর্মে আগ্রহ ও ভালবাসার অভাব দেখাযায়, তাহলে বুঝতে হবে— শারীরিক-মানসিক সুস্থতার অভাব আছে। তার প্রতিকারের জন্য আমাদের চিকিত্সাকের সাথে পরামর্শ করুণ।  

 

মনে রাখতে হবে, মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রে যদি প্রয়োজনীয় রস-রক্ত-খাদ্য বা পুষ্টির অভাব ঘটে, যদি তা’ টক্সিন দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে তার কাছ থেকে ভালো কাজ পাওয়ার আশা করা যাবেনা। 

  • ক্লাসে প্রত্যেককে আনতে হবে—

  •  

  • খাতা ও কলম

  • ১টি বেডসিট বা বেড কভার

  • পানীয় জলের বোতল

  • মোবাইল ফোনে ব্যবহারযোগ্য চীপ

  •  

  • ছাত্র-ছাত্রীদের দেওয়া হবে—

  • স্টাডি মেটিরিয়ালস সহ অন্যান্য শিক্ষণীয় বিষয়ের উপর— সুমেরু রায়ের লেখা আর্ট অফ লার্নিং নামে বইয়ের একটি কপি। ( ক্লাস বা ওয়ার্কশপে যে বিষয় গুলি শেখানো হয়, তার বাইরে— অতিরিক্ত কিছু প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে— এই বইটি তৈরী করা হয়েছে।).

‘স্টাডি-স্কিল’-এর ক্লাস/ওয়ার্কশপের সাধারণ নিয়মাবলী-

স্টাডি-স্কিল’-এর ক্লাস /ওয়ার্কশপের সাধারণ নিয়মাবলী-

 

  • আট (৮) বছর বয়সের ঊর্ধে সব বয়সের (বয়স অনুযায়ী পরিণত ও সুস্থ) ছাত্র-ছাত্রীগণ এই প্রশিক্ষণ নিতে পারবে।  অল্প বয়সী আট (৮) বছরের নিম্নে) ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে, তাদের মা-বাবা এই পদ্ধতি শিখে নিয়ে, তাদের সন্তানকে শেখাতে পারবেন।  

 

  • আট (৮) বছরের কম বয়সীদের এই ক্লাসে বা সেমিনারে প্রবেশ নিষেধ।     

 

  • সপ্তাহে দুটি করে, এক মাসে মোট আটটি (৮টি) ক্লাস নেওয়া হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের মা/বাবা/ অভিভাবকদের  (যেকোনো একজন)-এর জন্য অতিরিক্ত একটি স্পেশাল ক্লাস (ফ্রীতে) দেওয়া হবে।   

 

  • আট (৮) থেকে কুড়ি (২০) বছরের ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে তাদের বাবা/মা /অভিভাবক যে কোনো একজনকে এই ক্লাসে বা ওয়ার্কশপে উপস্থিত থাকতে হবে। তার জন্য অতিরিক্ত কোনো ফিস লাগবে না। 

 

  • কারো কোনো প্রশ্ন থাকলে, ক্লাসের বা সেমিনারের শেষে প্রশ্ন করবেন। কোনো কারণে ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলে, তার জন্য অতিরিক্ত সময় দেওয়া সম্ভব নয়। প্রয়োজনে, অতিরিক্ত ফিস জমা দিয়ে পরবর্তী ক্লাস বা সেশনে বসা যাবে।

স্টাডি-স্কিল

ফিস

Indian Rupees

এককালীন কিছু অর্থ ব্যয় ক’রে— সারা জীবনের জন্য অমূল্য সম্পদ লাভ করুন।

 

ফিস— গ্রুপ ক্লাস :

জনপ্রতি ৮টি ক্লাসের জন্য— ৩০০০,

ছাত্র-ছাত্রীর সাথে একজন অভিভাবক থাকতে পারবেন।

 

সপ্তাহে দুটি করে, এক (১) মাসে মোট আটটি (৮টি) ক্লাস। মোট আটটি ক্লাসের এই দুর্লভ প্রশিক্ষণ নিয়ে, এবং নিয়মিত অনুশীলন এবং তার প্রয়োগ ক’রে, একজন ছাত্র/ছাত্রী সাফল্যের শিখরে উঠতে সক্ষম!

 

* সংগৃহীত অর্থ  ‘মহামনন’  আত্মবিকাশ শিক্ষা কেন্দ্র (MahaManan: Self-Development Education Centre) স্থাপনের উদ্দেশে ব্যয়িত হবে।   

 

ছাত্র-ছাত্রীদের সুস্থতা— সাফল্য— উন্নতির  ক্ষেত্রে সঠিক খাদ্য-পানীয় এবং যথাযথ আহার-বিহার-নিদ্রা প্রভৃতির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। স্বাস্থ্যবিধি জানা এবং তা’ মেনে চলা একান্ত প্রয়োজন। আমাদের ক্লাস/ওয়ার্কশপে এ’ সম্পর্কে আলোকপাত করা হবে।  

ক্লাস ও সেমিনার চলাকালীন প্রত্যেকের কর্তব্য-- 

 

  • সেমিনার এবং ক্লাস চলাকালীন মোবাইল ফোন বন্ধ রাখুন। 

  • কারো সাথে কোন রকম আলোচনা বা কথাবলা বন্ধ রাখুন। 

  • শান্তি বজায় রাখুন। ঝামেলা এড়িয়ে চলুন। কাউকে বিরক্ত করবেন না। 

  • শিক্ষকের কথা মন দিয়ে শুনুন, এবং নিজের কর্তব্য করুণ। এছাড়া, শিক্ষকের দেওয়া কর্মভার (হোমটাস্ক) বাড়িতে গিয়ে নিয়মমেনে অভ্যাস করবেন। 

*মহামানস প্রদর্শিত ম্যানমেকীং এডুকেশনের একটি অঙ্গ।

ক্লাসে প্রত্যেককে আনতে হবে--

লেখাপড়ায় আগ্রহ কম— মনোযোগ নেই? অঙ্ক/ইংরেজিতে ভীতি? স্মরণশক্তি কম? অল্পতেই টেনশন? এছাড়া, ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সমস্যার জন্য আমাদের চিকিতসা বিভাগে আসুন।     
বিঃদ্রঃ- ভারতের বিশিষ্ট মেমোরী টেকনিশিয়ানদের প্রশিক্ষন এবং আমাদের এই প্রশিক্ষণের মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে। আমরা মনেকরি, শুধু টেকনিক শিখলেই হবেনা, টেকনিক শেখার সাথে সাথে, মনের ক্ষমতা— যোগ্যতা ও সুস্থতাও বাড়িয়ে তুলতে হবে। সুমেরু রায় দীর্ঘকাল যাবত মানসিক চিকিতসা এবং মনোবিকাশ কার্যক্রমের সাথে যুক্ত এবং গবেষনারত। তার সম্পর্কে জানতে হলে— গুগল সার্চ করুন= Sumeru Ray / MahaManas ।
এই প্রশিক্ষণের গুরুত্ব বুঝতে পারলে, তখন আর অর্থ ও সময় কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।

প্রধান ও অতিরিক্ত বিষয়গুলি-- 

ক্লাস বা ওয়ার্কশপে যে বিষয় গুলি শেখানো হয়, তার বাইরে— অতিরিক্ত কিছু প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে— ‘আর্ট অফ লার্নি' বইটি তৈরী হয়েছে। এই বইটির একটি কপি প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে দেওয়া হবে।    

১। মন ও তার অনুপম শক্তি 

২।  মনের বিকাশ / মাইন্ড ডেভালপমেন্ট 

৩।  মনোযোগ বৃদ্ধির বিশেষ পদ্ধতি

৪।  আগ্রহ বাড়ানোর সঠিক উপায়

৫।  মনেরাখার কলাকৌশল 

৬।  স্মরণশক্তি বাড়িয়ে তোলা সম্ভব 

৭।  বই পড়ার বিজ্ঞানভিত্তিক টেকনিক

৮।  স্বপ্নে পড়াশোনা

৯।  মাইন্ড প্রোগ্রামীং ---এক অপূর্ব অভিজ্ঞতা

১০।  যুক্তি ও কল্পনা উভয়কেই প্রয়োজন

১১।  সঠিক আত্মবিশ্বাস এবং পজেটিভ থিংকিং

১২।  ভয়---- উদ্বেগ---- উত্কণ্ঠা এবং মানসিক চাপ

১৩।  সাফল্য লাভের উপায়

১৪।  পরীক্ষার সময় টেনশন মুক্ত হয়ে রিল্যাক্স থাকা

১৫।  প্রয়োজনীয় কয়েকটি যোগ প্রক্রিয়া

১৬।  বিশেষ ধ্যান পদ্ধতির মাধ্যমে মনের ক্ষমতা বৃদ্ধি

১৭।  মনোদুষন এবং নেগেটিভ চিন্তা থেকে সাবধানতা

১৮।  যথাযথ পান-আহার--- নিদ্রা--- বিনোদন---

১৯।  মনেমনে পড়া, আর সশব্দে পড়া 

২০।  স্টাডি-গ্রুপের প্রয়োজনীয়তা 

২১।  বিকল্প চিকিত্সাপদ্ধতিতে সুস্থতা লাভের দিশা

আগ্রহ— ভালবাসার মূলে থাকে স্বার্থ

 

আগ্রহ— ভালবাসার মূলে থাকে স্বার্থ—লাভ—আনন্দ—উপকার প্রভৃতি। কিন্তু স্বার্থ থাকা সত্বেও অনেকের ক্ষেত্রে আগ্রহ—ভালবাসার অভাব দেখা যায়। কেন এটা হয়?

যে ব্যক্তি নিয়মিত আমার স্বার্থ দেখছে— আমার স্বার্থ পুরণ ক’রে চলেছে। যে আমাকে খাওয়াচ্ছে— পড়াচ্ছে, তার প্রতি আমি উদাসীন—অকৃতজ্ঞ হয়ে থাকছি। আর যে হঠাত্ ক’রে একদিন আমাকে কিছু উপহার দিলো, অথবা কোনো কিছু খেতে দিলো, —তার প্রতি আগ্রহ বেড়ে গেলো আমার! এরকম কেন হয়?

এর পিছিনে থাকে ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষা অথবা শিক্ষার অভাব। আমাদের মনের মধ্যে গেঁথে থাকা কোনো ভুল ‘প্রোগ্রাম’ –যা আমাদেরকে ভুল পথে চালিত করে, এবং/অথবা মানসিক অসুস্থতা বা চেতনার অভাব বা বোধ হীনতা।

উন্নত পারিবারিক বা সামাজিক পরিবেশ এবং সেই সাথে উপযুক্ত শিক্ষা আমাদের বোধোদয় ঘটাতে পারে। এখানে মা-বাবা ও শিক্ষকের মুখ্য ভূমিকা থাকে। তাই, সর্বাগ্রে মা-বাবা ও শিক্ষককে প্রকৃত শিক্ষা— জীবন মুখী শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠতে হবে। তবেই ছাত্র-ছাত্রী —সন্তানকে শিক্ষিত ক’রে তোলা সম্ভব হবে।  

এইসব শিশুরা কিন্তু প্রকৃতই ‘স্বার্থপর’ নয়। স্বার্থ কি জিনিস সেটাই এরা ঠিকমতো জানেনা। নিজের স্বার্থ সঠিক ভাবে বুঝতে পারলে— এরা নিজের স্বার্থেই অপরের স্বার্থ দেখবে। অপরাপর সব মানুষের স্বার্থ দেখাটাও এরা নিজেদের স্বার্থ মনে করবে।   

পজেটিভ পরিকল্পনা কি ভাবে করবে

 

উপযুক্ত সুযোগ পেলেই তোমার বিষয়—কর্ম—সাফল্য নিয়ে কিছুক্ষণের জন্য পজেটিভ কল্পনায় বুঁদ হয়ে যাও। তারপরেই সচেতনভাবে— সেই কল্পনাকে যুক্তির পথে চালিত ক’রে— তাকে পরিকল্পনায় রূপ দাও।

 

এরপর, মাঝে মাঝে সেই পরিকল্পনাকে যুক্তি—বিচার—বিশ্লেষণের মধ্য দিয়ে, ক্রমশ একটি সুপরিকল্পনায় পরিণত ক’রে তোলো। এইভাবে— এক সময় একটা স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছে, এবার তাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য ধাপে ধাপে এগিয়ে যাও, বাস্তবসম্মত— যুক্তিসম্মত পথ ধরে।

 

যদি দেখা যায়, চিন্তা-ভাবনা কল্পনা-পরিকল্পনাগুলি সুন্দর—সুশৃঙ্খলভাবে এগচ্ছেনা, কেমন যেন এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে, মাঝে মাঝে খেই হারিয়ে যাচ্ছে, তাহলে কাগজ-কলম নিয়ে নিভৃতে বসে— এক এক ক’রে প্রথম থেকে তোমার বিষয়—কর্ম—পরিকল্পনাকে লিখে ফেলো। দেখবে, লিখতে লিখতেই— পরিকল্পনাটি কেমন সুন্দর—সুশৃঙ্খল রূপ পেয়ে যাবে। হারিয়ে যাওয়া সূত্র এবং অদেখা পথগুলি একে একে তোমার কাছে আত্মপ্রকাশ করতে থাকবে।

 

সবটা যদি স্পষ্ট না হয়, কয়েক ঘন্টা পরে সেই কাগজ-কলম নিয়ে আবার বসে যাও। প্রথম থেকে ধাপে ধাপে দেখতে থাকো। ফাঁক-ফোঁকড়— ভুল-ত্রুটি চোখে পড়লেই তা’ সংশোধন—সংযোজন করো, এবং পুনরায় ফ্রেস ক’রে আবার লেখ। দেখবে, এই ভাবে বার কয়েক লেখার পর— একটি সুন্দর পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা তৈরী হয়ে গেছে।         

মন সম্পর্কে সচেতন হওয়া— জ্ঞাত হওয়া— অভিজ্ঞ হওয়া এবং তাকে সুস্থ ও নিয়ন্ত্রনাধীন ক’রে তোলাই হলো— মানুষ হওয়া।  

 

আমাদের মধ্যে দুটি সক্রিয় অংশী মনের একটি হলো—সচেতন মন, আর অপরটি হলো— অবচেতন মন। আমাদের মনরাজ্যে এই অবচেতন মনটি অধিক অংশে বিকশিত— অধিক সক্রিয়। সেই প্রধান ভূমিকা পালন ক’রে থাকে। এই মনটির আছে বিশেষ কিছু ভালো গুণ, যাদের ঠিক মতো কাজে লাগাতে পারলে— অনেক ক্ষেত্রেই সাফল্য লাভ সম্ভব, আপাতদৃষ্টিতে অনেক অসাধ্যকেই সাধন করা সম্ভব। তবে এই মনটির মধ্যে অনেক খারাপ গুণও আছে। এই কারণে একে নিয়ন্ত্রণ করাও খুব দরকার।

 

আমাদের সচেতন মনটি অধিকাংশ মানুষের ক্ষেত্রেই অল্পাংশে বিকশিত— অল্প সক্রিয়। কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব অনেক। মনেরাখতে হবে, সচেতন মনের মালিক হওয়ার কারণেই আমরা— মানুষ। সচেতন মানুষ।

 

আমাদের এই সচেতন মনের যত বেশি বিকাশ ঘটবে, আমরা ততই বিকশিত মানুষ হয়ে উঠতে পারবো। পূর্ণবিকশিত মানুষ হওয়ার লক্ষ্যে— এই সচেতন মনের বিকাশ ঘটানোই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আর এই সচেতন মনকে দিয়ে— সচেতনভাবে, বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন অবচেতন মনকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে, এবং তাকে নিয়ন্ত্রন করতে হবে— তার খারাপ গুণ গুলির জন্য।

 

তবে, অবচেতন মনের উপর প্রভুত্ব করতে গিয়ে— সচেতন মন অনেক সময়েই অবচেতন মনের অনেক কথাকে পাত্তা দিতে না চাওয়ার ফলে, দেখাযায় অনেক ক্ষেত্রেই তাকে বিপদ বা লোকসানের সম্মুখীন হতে হয়। তাই স্বৈরাচারী হলেও হবেনা। তাতে নিজেরই ক্ষতি হবে। তাই যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে সচেতনভাবে চিন্তা ক’রে—বিচার ক’রে দেখতে হবে, অবচেতন মনের কথা গ্রহনযোগ্য কি না, এবং গ্রহনযোগ্য হলে—তা’ কতটা গ্রহনযোগ্য। তাকে সবসময় অন্যায়ভাবে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করলে, --তার ফল ভয়ানক বা মারাত্মক হতে পারে। মনেরাখতে হবে, বহীর্জগতের চাইতে অন্তর্জগতের ম্যানেজমেন্ট আরোও গুরুত্বপূর্ণ।    

 

        

ভালো ছাত্র-ছাত্রী হতে হলে— ছাত্র/ছাত্রী জীবনে সফল হতে হলে— স্বাস্থ্যবিধি ও সুস্থতা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে এবং এ’ সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে। এর মধ্যে প্রধান হলো— পেটের সুস্থতা। অম্ল-অজীর্ন-বায়ু, কৃমি, লিভারসহ সমস্ত পরিপাকতন্ত্র সম্পর্কে সতর্ক থাকা দরকার।

 

অসুস্থতা যাতে সমস্ত পরিশ্রম পন্ড ক’রে দিতে না পারে, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে, এবং নিজ নিজ প্রকৃতি ও স্থানকাল  অনুসারে পরিমাণ মতো  পান-ভোজন করতে হবে। এছাড়া, আরেকটি বড় শত্রু হলো— অধিক বা অস্বাভাবিক কামোত্তেজনা। প্রয়োজনে এসবের জন্য প্রাকৃতিক বা বিকল্প চিকিৎসার সাহায্য নিতে হবে।   

 

পরিপাকতন্ত্রের উত্তেজনা— মনকে উত্তেজিত ক’রে তোলে। পরিপাকতন্ত্রের বিশৃঙ্খলা মানসিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।

মনেরাখতে হবে, সব কিছু সবার জন্য সমান উপযোগী নয়। খাদ্য সে যতই ভালো হোক, সবার ক্ষেত্রেই ভালো হবে এমন নাও হতে পারে।

দেখতে হবে, কোন্‌ খাদ্য/পানীয় খাওয়ার পর তুমি প্রায়শই অসুস্থ বোধ করছ...। তেমন হলে, বুঝতে হবে, সেই খাদ্য/পানীয় যতই সুস্বাদু হোক না কেন, তা’ তোমার পক্ষে উপযুক্ত নয়। 

পড়াশোনা করা যেন লড়াই করা না হয়

পাশের ঘরে টিভির শব্দ তোমার মনোযোগকে সেই দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তুমি চেষ্টা ক’রে যাচ্ছ— ওখান থেকে মনকে সরিয়ে নিয়ে পড়ায় মনোযোগ ফিরিয়ে আনতে। তার জন্য তোমায় লড়াই করে যেতে হচ্ছে।

 

রান্নাঘরে মা তোমার পড়ার আওয়াজ শুনতে না পেলে ভাববে, তুমি পড়ছনা। তাই তুমি চেঁচিয়ে পড়তে চেষ্টা করছ। কিন্তু চেঁচিয়ে পড়তে গিয়ে তুমি পাঠ্য বিষয়ের গভীরে প্রবেশ করতে পারছনা। পড়ছ— কিন্তু মাথায় কিছু ঢুকছে না। সেখানেও লড়াই।

 

মাথার মধ্যে বন্ধুদের আড্ডা অথবা ফেসবুকের মজার কথা বারবার ফিরে ফিরে আসছে। ওখান থেকে মনকে সরিয়ে নিতে— সেখানেও লড়াই করতে যাচ্ছ। ইতিহাসটা আবার তেমন পছন্দের বিষয় নয় তোমার কাছে, তবু জোর ক’রে পড়তে হচ্ছে, এখানেও লড়াই। এই রকম আরো অনেক লড়াই ক’রে লেখাপড়া করতে গিয়ে— আসল লেখাপড়া কিছুই হচ্ছে না, শুধু লড়াই ক’রে ক’রে মাথা ব্যাথাই হয়ে যাচ্ছে।

 

অথচ যখন তুমি তোমার কোনো প্রিয় গল্পের বইয়ের মধ্যে ডুবে যাও, অথবা কোন সুখকর বা মজার কল্পনায় বুঁদ হয়ে থাকো, তখন কোনো লড়াই করতে হয়না তোমাকে! এমনকি মা ডাকলেও তা’ কানে ঢোকে না তখন। এর কারণটা একবারও ভেবে দেখেছ কী?  

এর কারণ আর কিছুই নয়— ‘ইন্টারেস্ট’ –আগ্রহ!    

 

এবার লক্ষ্য কর— গল্পের বই পড়ার সময়, অথবা বন্ধুদের চিন্তা— ফেসবুকের চিন্তা করার সময় তুমি কল্পনায় সেই সব ছবি দেখছিলে, এবং সেই চলমান বা জীবন্ত ছবিতে তোমার মন আকৃষ্ট হয়ে ছিল। কিন্তু যখন তুমি পাঠ্যবই পড়ছিলে তখন বিশেষ কোনো কল্পনা— বিশেষ কোনো ছবি ছিলনা। তাহলেই বুঝতে পারছো সমস্যাটা কোথায়?  --এই ছবি যত স্পষ্ট হবে— মনে থাকবে তত বেশি।    

 

 

 

আগ্রহ— ইন্টারেস্ট

 

কোনো একটি বিষয়ে আগ্রহ নেই— ইন্টারেস্ট নেই, অথচ সেই বিষয়ে আগ্রহ না থাকলে— সমুহ ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা! —এমন ক্ষেত্রে কি ক’রে আগ্রহ বাড়িয়ে তোলা যায়, —সে’ সম্পর্কে এবার কিছু বলব।

 

আমরা যা কিছু করি, তার বেশিরভাগই ক’রে থাকি— স্বার্থের জন্য। তাই স্বার্থটাকে ভালভাবে বুঝতে হবে (স্বার্থ সম্পর্কে অন্যত্র আমার একটি রচনা দ্রষ্টব্য)। এই জগতে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে, নিজের বিকাশ ঘটাতে, —নিজের যাবতীয় চাহিদা মেটাতে, —আমাদের অনেক কিছুই করতে হয়, এবং ভবিষ্যতেও করতে হবে। তার মধ্যে সব কাজ যে আমাদের পছন্দ মতো হবে— সহজসাধ্য হবে, অথবা অপরের দ্বারা করিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে— এমন নয়। ইচ্ছায় হোক— অনিচ্ছায় হোক, কর্ম আমাদের করতেই হবে।

 

জাগতিক ব্যবস্থা (Worldly System) আমাদের বিকাশ ঘটাতে— মনোবিকাশ ঘটাতে, যে যে উপায় অবলম্বন করেছে, তার মধ্যে প্রধান হলো— আমাদের মধ্যে নানা প্রকার চাহিদা সৃষ্টি ক’রে— সেই চাহিদামতো আমাদেরকে কর্মে প্রবৃত্ত ক’রে তুলেছে। অর্থাৎ চাহিদা সৃষ্টির সাথে সাথে— আমাদের মধ্যে সেই চাহিদা মেটানোর উদ্দেশে কর্মোদ্যোগ-ও সৃষ্টি করেছে। যা আমাদেরকে নানা কাজে— নানা উদ্দেশ্যে— নানা দিকে ছুটিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

 

উদ্দেশ্য— আমরা যাতে কর্ম আর ভোগের মধ্য দিয়ে জ্ঞান-অভিজ্ঞতা লাভ করি। এই জ্ঞান-অভিজ্ঞতা লাভের মধ্য দিয়েই আমাদের চেতনার বিকাশ ঘটে থাকে। আমরা ইচ্ছায়—অনিচ্ছায় এই জাগতিক ব্যবস্থা মতোই কাজ ক’রে চলেছি। জীবনের লক্ষ্যে— পূর্ণ বিকাশের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছি।

 

কিন্তু, মাঝে মাঝে এর ব্যতীক্রমও ঘটে। এগিয়ে চলায় আগ্রহের অভাব— উৎসাহের অভাব ঘটে। এটা ঘ’টে থাকে— বোধের অভাব অথবা বোধশক্তির অভাবে, আর সুস্থতার অভাবে। অসুস্থতার ক্ষেত্রে— দুর্বলতা বা পুষ্টির অভাব— শক্তির অভাব একটা কারণ।    

 

তবে, কম-বেশি এরও প্রতিকার সম্ভব, যদি ঠিকমতো পারিপার্শ্বিক সুযোগ-সুবিধা সহযোগিতা মেলে। আর ব্যক্তি যদি সেই সহযোগিতা লাভে ঠিকমতো সাড়া দেয়, এবং যথেষ্ট সাহায্য করে।

 

যখনকার যে কাজ— সময়মতো তা’ না করলে, আলসেমী করলে অথবা আগ্রহ হারালে, ভবিষ্যতে তার জন্য অনেক কষ্ট পেতে হতে পারে, অনেক কিছু হারাতে হতে পারে, তারজন্য অনেক অনুতাপ করতে হতে পারে। কিন্তু কোনো মতেই সেই হারানো সময় আর ফিরে পাওয়া যাবেনা। যে ক্ষতি হয়ে গেছে— তাকে আর পুরণ করা সম্ভব নাও হতে পারে কখনও।

 

সেই কথা ভেবে, নিজের চেষ্টায় এবং প্রয়োজনে অপরের সাহায্য নিয়ে— সময়ের কাজ সময়ে করার জন্য যথেষ্ট আগ্রহী ও উদ্যোগী হতে হবে আমাদের।   

 

আগ্রহ বৃদ্ধির পক্ষে উপযুক্ত পরিবেশ— আগ্রহী মানুষদের সঙ্গ, অর্থাৎ তাদের সাথে মেলামেশা বিশেষ ফলদায়ক হয়ে থাকে। তাই, কোনো বিষয়ে আগ্রহ বাড়াতে চাইলে, সেই বিষয়ে আগ্রহীদের সঙ্গে মেলামেশা করা উচিত।

ক্রোধ-উত্তেজনা-অস্থিরতা, ভয় আর আলস্য— এগুলি হলো আমাদের বড় শত্রু

 

ক্রোধ-উত্তেজনা-অস্থিরতা, ভয় আর আলস্য— এগুলি হলো আমাদের বড় শত্রু, সাফল্য লাভের পথে সব চাইতে বড় প্রতিবন্ধক। এগুলি আসলে অসুস্থতার লক্ষণ। এদের উপেক্ষা করলে— তার ফল হবে খুবই খারাপ। এদের থেকে মুক্ত হতে হবে— সুস্থ হতে হবে তোমাকে। রুক্ষ—কর্কশ—উত্তেজিত কথা ও আচরণ তোমাকে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করবে। ঋণাত্মক (নেগেটিভ) চিন্তা-ভাবনা—আচরণ আর নয়, এখন থেকে ধনাত্মক (পজেটিভ) হয়ে ওঠো। আর তার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন সুস্থতা। কথায় আছে— বিনীত ছাত্রই জ্ঞান লাভে সক্ষম হয়।  

 

ওয়ার্কশপ / ক্লাস / সেমিনার স্পন্সর করতে ইচ্ছুক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যোগাযোগ করুণ।

bottom of page