বৈপরীত্যময় এই জগৎ
বৈপরীত্যময় এই জগৎ
বৈপরীত্য নিয়েই এই জীবন— এই জগৎ। ভিতরে—বাইরে সর্বত্রই বৈপরীত্যের খেলা! আর এই বৈপরীত্যই যত দুঃখ-কষ্ট-যন্ত্রনা —অশান্তির অন্যতম কারণ।
যেখানে দ্বন্দ-বিরোধ-বৈপরীত্য যত কম, —সেখানে তত শান্তি। এই শান্তির পরম অবস্থায়— জীবন নেই— জগৎ নেই!
সম্পূর্ণ অজ্ঞান-অচেতন অবস্থা থেকে পূর্ণ জ্ঞান— পূর্ণ চেতনার লক্ষ্যে এগিয়ে চলাই হলো— জীবন। আর মহাজগতের ক্ষেত্রে তা’ হলো— মহাজীবন। এই মহাজগৎ তথা ঈশ্বরও এগিয়ে চলেছে আমাদের মতোই।
এগিয়ে চলার সাথে সাথেই শুরু হয়ে যায়— অসুখ আর অশান্তির অধ্যায়। যত এগিয়ে চলে, ততই বাড়তে থাকে— দ্বিধা-দ্বন্দ-বিরোধ, বিশ্বাস-অবিশ্বাস —বৈপরীত্যের খেলা। আর সেই সাথে বেড়ে চলে— দুঃখ-কষ্ট-যন্ত্রনা —অশান্তি, সুখ-অসুখের পালা।
বিকাশমান চেতনা পথের মধ্যবর্তী অনেকটা জায়গা জুড়ে এই বৈপরীত্য— এই অশান্তির চরম অবস্থা চলে। এই চরম দুরাবস্থায় একটু শান্তির জন্য— একটু উপশমের জন্য প্রাণ ছটফট ক’রে কঁকিয়ে কেঁদে ওঠে। কিন্তু কে দেবে উপশম— সাধ্য নেই কারো! আর দিলেও, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্ব-বিরোধীতা— বৈপরীত্যের কারণে তা’ গ্রাহ্য হয়না তখন!
অনেকটা দুঃসহ কষ্টের পথ অতিক্রম করার পরে— ক্রমশ জ্ঞান ও চেতনা বৃদ্ধির সাথে সাথে— একটু একটু ক’রে দ্বিধা-দ্বন্দ বৈপরীত্যভাব ও সেইসাথে অশান্তিও কমতে থাকে। অতঃপর লক্ষ্যে পৌঁছে— পরম শান্তিতে উপনীত হবার সাথে সাথেই জীবনলীলা শেষ— জগৎ তথা মহাজীবনও বিলীন হয়ে যায় তখন।