top of page

আইন—বিচার-ব্যবস্থা—প্রশাসন কেউই সমালোচনার ঊর্ধে নয়।


আইন—বিচার-ব্যবস্থা—প্রশাসন কেউই সমালোচনার ঊর্ধে নয়।

শিক্ষা-ব্যবস্থার মতোই বিচার-ব্যবস্থাকেও সময়োপযোগী ক’রে ঢেলে সাজানো একান্ত প্রয়োজন। কিন্তু এ’ব্যাপারে সরকার অথবা অন্য কোনো সংস্থা— কারো পক্ষেই কোনো হেলদোল দেখা যায় না।

বিচার-ব্যবস্থার দৈন্যদশা সম্পর্কে এখানে কয়েকটি পয়েন্ট উল্লেখ করছি—

  • গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বিচার-ব্যবস্থায় ধর্ম ও রাজতন্ত্রের ছায়া সুস্পষ্ট।

  • ব্যক্তি-জীবনে স্বল্প জ্ঞান ও অন্ধ-বিশ্বাস সম্পন্ন— পক্ষপাতদুষ্ট— অবিবেচক একজন সাধারণ মানুষ হয়েও কেউ কেউ শুধু আইন-বিদ্যা অধিগত ক’রে হয়ে ওঠে যেন সর্বশক্তিমান! যে যায় ওই আসনে যেন মহারাজ সিংহাসনে! কেন এমন হয়?!

  • বিচার-ব্যবস্থার অন্তর্গত ওকালতি-ব্যবস্থায় বেশকিছু রক্তচোষা—প্রতারক উকিলদের বিরুদ্ধে টু-শব্দ করতেও মানুষ ভয় পায়! যেমন— বহুপূর্বে রাজতন্ত্রের কোপে পড়ার ভয়ে মানুষ চুপ ক’রে অত্যাচার সহ্য করতো। কেন এমন হবে?!

  • মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে সমস্ত বিচার-ব্যবস্থা জুড়ে চলছে অশুভ আঁতাত! এর রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি। মানুষ সব জেনেও অসহায়। বিচার-ব্যবস্থা যেন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে এক স্বর্গীয় ব্যাপার— ওর বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবেনা! বললে, তা’ হবে গর্হিত অপরাধ! কেন?!

  • গোপন ক্যামেরা নিয়ে আদালতের আনাচে-কানাচে কিছুদিন ঘোরাঘুরি করলেই— অসংখ্য দুর্নীতির প্রমান পাওয়া যাবে। তবু জনগণের সরকার এ’ব্যাপারে যেন অন্ধ-ধৃতরাষ্ট্র! তারও যেন হাত-পা বাঁধা! কেন?!

  • অসৎ চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অনেককেই সরব হতে দেখা গেলেও, আদালত এবং তার অন্তর্গত অসৎ উকিলদের বিরুদ্ধে কাউকে তেমনভাবে আন্দোলিত হোতে দেখা যায়না। কেন?!

  • বিচার-ব্যবস্থার দ্বারা (ওকালতি ব্যবস্থাসহ) নিপীড়িত হয়ে— হয়রান হয়ে, ভুক্তভোগী মানুষের মধ্যে অজস্র অভিযোগ থাকা সত্বেও এর প্রতিকারে কারো কোনো উদ্যোগ নেই। যারফলে সাধারণ মানুষ আদালতকে ভয় পায়— এড়িয়ে চলতে চায়। কেন এমন হবে?!

  • অনেকসময়, এক আদালতের বিচারের রায়— অপর আদালতের বিচারের রায়ের সমান হয়না। এমনকি অনেক সময় বিপরীত হতেও দেখা যায়। এরদ্বারা স্পষ্টতঃই বোঝাযায়, —এ’হলো ভিন্ন ভিন্ন জ্ঞান ও চেতনা সম্পন্ন সাধারণ মানুষী বিচার। যুক্তি-অঙ্ক-বিজ্ঞান ভিত্তিক বিচার-ব্যবস্থা নয়।

  • এছাড়া, এককালের বিচারের রায় পরবর্তীকালে পরিবর্তন হতে দেখা গেছে অনেকসময়। এক্ষেত্রে, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির দায় কে নেবে! মোটকথা, বর্তমানে বিজ্ঞান—প্রযুক্তির এতো উন্নতি হওয়া সত্বেও, আইন ও বিচার-ব্যবস্থা পড়ে আছে সেই তিমিরেই। কেন এমন হবে?!

  • মামলার চাপ কমানো যায় কিভাবে, দীর্ঘসূত্রীতা কমানো যায় কিভাবে, তার জন্য বিশেষ কোনো উদ্যোগ নেই কোথাও। আদালতে এখনও প্রাচীন ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের প্রভাব লক্ষ্যণীয়। কেন?!

  • দক্ষতা ও মামলায় সাফল্যের নিরিখে উকিলদের রেট কার্ড তৈরী ক’রে, সবার গোচরে আনা দরকার। প্রয়োজনে, ব্ল্যাক-লিষ্ট তৈরী করা যেতে পারে। মানুষ যাতে প্রতারিত না হয়, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা আবশ্যক। আদালতের অসৎ কর্মচারীদের জন্যেও উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন আবশ্য কর্তব্য। কেন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়না?!

  • মাননীয় সরকার যদি সত্যিই জনগণের দরদী হোন, সত্যিই জনগণের মঙ্গল চান, তাহলে যথাশীঘ্র এই ঘুঘুর বাসা ভাঙার ব্যবস্থা নিন।

এই বিষয়ের উপর আরেকটি ব্লগ দেখুন, এই লিংক ফলো করুন> https://www.facebook.com/notes/mahadharma-samsad/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE-%E0%A6%86%E0%A6%9B%E0%A7%87-do-you-have-trust-on-the-judicial-system/10152668334406673/

Follow Me
  • Twitter Long Shadow
  • Google+ Long Shadow
  • Facebook Long Shadow
  • LinkedIn Long Shadow
Search By Tags
No tags yet.
bottom of page