ভালবাসবে— দূরত্ব বজায় রেখে
ভালবাসবে— দূরত্ব বজায় রেখে
সবাইকে ভালবাসবে— অন্তর থেকে ভালবাসবে, কিন্তু আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সচেতনতা—সতর্কতা থাকতে হবে। মনে রেখো, সতর্ক না থাকলে— তোমার দাঁত তোমার জিভকে কামড়ে দিতে পারে। অতি উচ্চস্তরের শাশ্বতপ্রেমিক মহামানবদের কথা স্বতন্ত্র। তাঁরা ভালবাসার দ্বারা হিংস্র জীবদের বশে আনতে সক্ষম। কিন্তু সে ক্ষমতা যার নেই, তাকে সতর্ক থাকতেই হবে। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ভালবাসতে হবে সবাইকে। অনেকেই তোমার এই সদ্গুণকে দুর্বলতা ভেবে, সেই দুর্বলতার সুযোগ নেবার চেষ্টা করবে। তাই, সাধারণের কাছে খুব বেহিসাবী হলে চলবে না। সেখানে একটু মেপে চলতে হবে তোমাকে।
সবচাইতে ভালো হয়, একটা বিশেষ জায়গায় (মিলন কেন্দ্রে) বিশেষ সময়ে তোমরা সমধর্মীরা মিলিত হয়ে আনন্দ উপভোগ করবে, ‘মহাসাধনা’ অনুশীলন করবে। ভাবের আদান-প্রদান ঘটবে সেখানে। সময়ান্তে আবার ফিরে আসবে সাধারণের জগতে। এছাড়া তোমরা একটা ‘কমিউন’ তৈরী ক’রে সবাই একত্রে বসবাস করতে পারো। সন্ন্যাসীদের মঠের মতো একটা জায়গা— যা হবে তোমাদের নিজস্ব ক্ষেত্র— নিরাপদ জায়গা।
মনে রেখো, সব মানুষকে তোমাদের দলে টানতে পারবে না। তোমাদের সুরক্ষিত নির্দিষ্ট এলাকার বাইরা সব জায়গায় তুমি ভালো ব্যবহার পাবে— এটা আশা কোরো না। তুমি যদি মনেকরো, সব মানুষকে বদলাতে চেষ্টা করবে— তাহলে বুঝতে হবে তোমার সাধারণ জ্ঞানের অভাব আছে। —এর ফলে তুমি বিপদে পড়তে পারো। তোমাদের প্রচারের মাধ্যমে সম-মানসিকতার যাদের তোমরা পাবে, তাদের নিয়েই গ’ড়ে তুলতে হবে তোমাদের জগৎ। বাইরের সাধারণ মানুষের হাসি-ঠাট্টা-উপহাস-উপেক্ষা— এসবে চোখ-কান দেবেনা। তোমার জীবনযাত্রাকে— তোমার মনকে তুমি কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে, কিভাবে সুখময়—আনন্দময় জীবন লাভ করবে—জীবন যাপন করবে, এ’ বিষয়ে পাঠ গ্রহন ও অনুশীলনের উপযুক্ত স্থান হলো তোমাদের মিলনকেন্দ্র—মহাআনন্দ মন্ডল।
(‘মহাআনন্দ মন্ডল’-এর ভক্তিযোগী—শাশ্বতপ্রেমীদের উদ্দেশে মহামানসোক্তি)