কঠিন রোগের চিকিৎসা প্রসঙ্গে
(সেলফ্-ডেভালপমেন্ট-এর শিক্ষাদান কালে, কঠিন রোগের চিকিৎসা প্রসঙ্গে— মহামানসের উক্তি)
তোমাদের মধ্যে কারও যদি কোনো কঠিণ রোগ হয়ে থাকে, অথবা কোনো পুরাতন রোগ থেকে থাকে, —তাহলে ডাক্তার দেখানোর পাশাপাশি তোমাদের উচিত সেই রোগটি সম্পর্কে বিশদ জ্ঞান অর্জন করা। শুধু এলোপ্যাথিই নয়, অন্যান্য বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতিগুলি— যেমন হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদিক ও ইউনানিপদ্ধতি প্রভৃতি কে— কি বলছে, তা’ জানা দরকার। সেই সাথে, নিজের নিজের প্রকৃতি এবং রোগের কারন— ইতিহাস সম্পর্কেও ধারণা থাকা দরকার।
অনেকেই ডাক্তারের কাছে বহু পুরাতন ও কঠিন রোগের চিকিৎসা করাতে এসে ভাবে, —ওষুধ খাবো আর ম্যাজিকের মতো ভালো হয়ে যাবো। এই ভুল ধারণার ভিত্তিতে এবং কোন্ ‘সিস্টেম অব ট্রিটমেন্ট’ ঐ বিশেষ রোগটি সারানোর পক্ষে উপযুক্ত তা’ না জানা থাকার ফলে— রোগীকে একের পর এক ডাক্তার পরিবর্তন ক’রে যেতে দেখা যায়। দিনের পর দিন নানাবিধ চিকিৎসা ও নানা ওষুধ প্রয়োগের ফলে, রোগ জটিল থেকে আরও জটিলতর হ’য়ে ওঠে। শেষে আরোগ্য দুঃসাধ্য হ’য়ে যায়।
মনে রাখবে, যে চিকিৎসা বা ওষুধ রোগীকে আরোগ্য করতে অক্ষম হয়েছে, তার কিছু না কিছু কুফল রোগীতে অবশ্যই বর্তাবে। অর্থাৎ ভালো করতে না পারলে, কমবেশি খারাপ সে করবেই। যা তোমার উপর ক্রিয়াশীল তার দ্বারা উপকার না হলে, তার দ্বারা ক্ষতি কিছু হবেই। আর একটা কথা, যে ওষুধ বা চিকিৎসা রোগকে নির্মূল না ক’রে, চাপা দিয়ে রাখে—তা’ আখেরে অত্যন্ত ক্ষতিকর।