বুঝতে না পারার কারণ ( আর্ট অফ হ্যাপী লার্নিং- ৩ )
বুঝতে না পারার কারণ
কোনো কিছু বুঝতে গিয়ে— আমরা আমাদের চেনা-জানা ছবি— পূর্ব অভিজ্ঞতা— বিশ্বাসের সাথে মিল খুঁজি। অনেকটা মিল হলে তবেই তা’ আমরা সহজে বুঝতে পারি। আর যদি তা’ অনেকাংশে না মেলে, সেক্ষেত্রে সেই বিষয়টি বুঝতে আমাদের কষ্ট হয়, অথবা আমরা বুঝতে পারিনা। এছাড়া, অনেক সময় আমাদের মন তা’ মেনে নিতে— বিশ্বাস করতে অপারক হয়।
তাই, কাউকে কোনো কিছু বোঝাতে অথবা নতুন কিছু বোঝাতে গেলে, প্রথম থেকেই— যাকে বোঝানো হচ্ছে, তার চেনা-জানা জগতের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। আস্তে আস্তে বিশ্বাসের জায়গা তৈরী হলে— একটু একটু ক’রে— মাঝে মাঝে অল্প চেনা বা আংশিক চেনা বিষয়ের অনুপ্রবেশ ঘটাতে হবে তার মধ্যে।
যদি একেবারেই অচেনা—অজানা কোন বিষয় জানাতে বা বোঝাতে হয়, তাহলে অবশ্যই তাকে চেনা ছবির মোড়কে অথবা চেনা জগতের হাত ধরেই তার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে।
তবে, এই বোঝার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে— প্রয়োজন বোধ তৈরি করতে হবে সবার আগে। স্বার্থ— প্রয়োজনবোধ না থাকলে, ব্যক্তির মধ্যে বোঝার আগ্রহই সৃষ্টি হবেনা। এই প্রয়োজনবোধ যত তীব্র হবে— ততই জানা-বোঝার আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে— নিজের স্বার্থেই। এই প্রয়োজন বোধও আমাদের চেনা-জানা ক্ষেত্রের মধ্যেই থাকতে হবে। অজানা—অচেনা কোনো প্রয়োজনীয়তাকে একদম হুট ক’রে আমাদের মনের মধ্যে প্রতিষ্ঠা করা যাবেনা। তার জন্য সুকৌশলে ধীরে ধীরে সঠিক পথে এগনো দরকার।
প্রয়োজন থাকা সত্বেও— স্বার্থ থাকা সত্বেও, অনেকসময় আমরা অনেক কিছুর প্রতি আগ্রহ বোধ করিনা, —বোঝার জন্য প্রয়োজনীয় মানসিক শ্রম স্বীকার করতে অনীহা দেখা দেয় আমাদের মধ্যে। এই অনীহা—বিরাগ—আলস্য এসবের পিছনে থাকে শারীরিক এবং/অথবা মানসিক দুর্বলতা, অক্ষমতা অথবা অসুস্থতা।
প্রকৃত কারণটি বুঝে—, তখন তার প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু এখানেও সেই বোঝার ব্যাপারটা থেকেই যায়। বোঝা ও বোঝানোর মধ্যে—আনন্দরস— মজা থাকলে, বোঝা ও বোঝানো উভয়ই অনেক সহজ হয়।
বিশদভাবে জানতে, এই ওয়েবসাইট দেখুন-- http://sumeru.wix.com/classes