পড়াশোনা করা যেন লড়াই করা না হয় ( আর্ট অফ হ্যাপী লার্নিং- ৮ )
পড়াশোনা করা যেন লড়াই করা না হয়
পাশের ঘরে টিভির শব্দ তোমার মনোযোগকে সেই দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তুমি চেষ্টা ক’রে যাচ্ছ— ওখান থেকে মনকে সরিয়ে নিয়ে পড়ায় মনোযোগ ফিরিয়ে আনতে। তার জন্য তোমায় লড়াই করে যেতে হচ্ছে।
রান্নাঘরে মা তোমার পড়ার আওয়াজ শুনতে না পেলে ভাববে, তুমি পড়ছনা। তাই তুমি চেঁচিয়ে পড়তে চেষ্টা করছ। কিন্তু চেঁচিয়ে পড়তে গিয়ে তুমি পাঠ্য বিষয়ের গভীরে প্রবেশ করতে পারছনা। পড়ছ— কিন্তু মাথায় কিছু ঢুকছে না। সেখানেও লড়াই।
মাথার মধ্যে বন্ধুদের আড্ডা অথবা ফেসবুকের মজার কথা বারবার ফিরে ফিরে আসছে। ওখান থেকে মনকে সরিয়ে নিতে— সেখানেও লড়াই করতে যাচ্ছ। ইতিহাসটা আবার তেমন পছন্দের বিষয় নয় তোমার কাছে, তবু জোর ক’রে পড়তে হচ্ছে, এখানেও লড়াই। এই রকম আরো অনেক লড়াই ক’রে লেখাপড়া করতে গিয়ে— আসল লেখাপড়া কিছুই হচ্ছে না, শুধু লড়াই ক’রে ক’রে মাথা ব্যাথাই হয়ে যাচ্ছে।
অথচ যখন তুমি তোমার কোনো প্রিয় গল্পের বইয়ের মধ্যে ডুবে যাও, অথবা কোন সুখকর বা মজার কল্পনায় বুঁদ হয়ে থাকো, তখন কোনো লড়াই করতে হয়না তোমাকে! এমনকি মা ডাকলেও তা’ কানে ঢোকে না তখন। এর কারণটা একবারও ভেবে দেখেছ কী?
এর কারণ আর কিছুই নয়— ‘ইন্টারেস্ট’ –আগ্রহ!
এবার লক্ষ্য কর— গল্পের বই পড়ার সময়, অথবা বন্ধুদের চিন্তা— ফেসবুকের চিন্তা করার সময় তুমি কল্পনায় সেই সব ছবি দেখছিলে, এবং সেই চলমান বা জীবন্ত ছবিতে তোমার মন আকৃষ্ট হয়ে ছিল। কিন্তু যখন তুমি পাঠ্যবই পড়ছিলে তখন বিশেষ কোনো কল্পনা— বিশেষ কোনো ছবি ছিলনা। তাহলেই বুঝতে পারছো সমস্যাটা কোথায়? --এই ছবি যত স্পষ্ট হবে— মনে থাকবে তত বেশি।
বিশদভাবে জানতে, এই ওয়েবসাইট দেখুন-- http://sumeru.wix.com/classes