top of page

মন সম্পর্কে সচেতন হওয়া— জ্ঞাত হওয়া— অভিজ্ঞ হওয়া এবং তাকে সুস্থ ও নিয়ন্ত্রনাধীন ক’রে তোলাই হলো— মানুষ


মন সম্পর্কে সচেতন হওয়া— জ্ঞাত হওয়া— অভিজ্ঞ হওয়া এবং তাকে সুস্থ ও নিয়ন্ত্রনাধীন ক’রে তোলাই হলো— মানুষ হওয়া।

আমাদের মধ্যে দুটি সক্রিয় অংশী মনের একটি হলো—সচেতন মন, আর অপরটি হলো— অবচেতন মন। আমাদের মনরাজ্যে এই অবচেতন মনটি অধিক অংশে বিকশিত— অধিক সক্রিয়। সেই প্রধান ভূমিকা পালন ক’রে থাকে। এই মনটির আছে বিশেষ কিছু ভালো গুণ, যাদের ঠিক মতো কাজে লাগাতে পারলে— অনেক ক্ষেত্রেই সাফল্য লাভ সম্ভব, আপাতদৃষ্টিতে অনেক অসাধ্যকেই সাধন করা সম্ভব। তবে এই মনটির মধ্যে অনেক খারাপ গুণও আছে। এই কারণে একে নিয়ন্ত্রণ করাও খুব দরকার।

আমাদের সচেতন মনটি অধিকাংশ মানুষের ক্ষেত্রেই অল্পাংশে বিকশিত— অল্প সক্রিয়। কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব অনেক। মনেরাখতে হবে, সচেতন মনের মালিক হওয়ার কারণেই আমরা— মানুষ। সচেতন মানুষ।

আমাদের এই সচেতন মনের যত বেশি বিকাশ ঘটবে, আমরা ততই বিকশিত মানুষ হয়ে উঠতে পারবো। পূর্ণবিকশিত মানুষ হওয়ার লক্ষ্যে— এই সচেতন মনের বিকাশ ঘটানোই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আর এই সচেতন মনকে দিয়ে— সচেতনভাবে, বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন অবচেতন মনকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে, এবং তাকে নিয়ন্ত্রন করতে হবে— তার খারাপ গুণ গুলির জন্য।

তবে, অবচেতন মনের উপর প্রভুত্ব করতে গিয়ে— সচেতন মন অনেক সময়েই অবচেতন মনের অনেক কথাকে পাত্তা দিতে না চাওয়ার ফলে, দেখাযায় অনেক ক্ষেত্রেই তাকে বিপদ বা লোকসানের সম্মুখীন হতে হয়। তাই স্বৈরাচারী হলেও হবেনা। তাতে নিজেরই ক্ষতি হবে। তাই যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে সচেতনভাবে চিন্তা ক’রে—বিচার ক’রে দেখতে হবে, অবচেতন মনের কথা গ্রহনযোগ্য কি না, এবং গ্রহনযোগ্য হলে—তা’ কতটা গ্রহনযোগ্য। তাকে সবসময় অন্যায়ভাবে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করলে, --তার ফল ভয়ানক বা মারাত্মক হতে পারে। মনেরাখতে হবে, বহীর্জগতের চাইতে অন্তর্জগতের ম্যানেজমেন্ট আরোও গুরুত্বপূর্ণ।

বিশদভাবে জানতে, এই ওয়েবসাইট দেখুন-- http://sumeru.wix.com/classes

Follow Me
  • Twitter Long Shadow
  • Google+ Long Shadow
  • Facebook Long Shadow
  • LinkedIn Long Shadow
Search By Tags
No tags yet.
bottom of page